৫ জানুয়ারির দিনটিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কলঙ্কের দিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এ দিনে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
আলোচনায় বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য আছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অথচ ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় আজ তারা পুলিশ, র্যাব আর অস্ত্র ব্যবহার করছে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র, প্রশাসন, আইন, বিচার বিভাগ সবকিছুই ফ্যাসিস্টরা নিয়ন্ত্রণ করছে। জনগণ ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থল মনে করে। আজ সেখানকার কী হাল- এখানকার প্রধানকে বাধ্য করা হয়েছে সরে যেতে। এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই আছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ সরকারের আমলে বিএনপির ৭৪৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সাত লাখ ৩৮ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির আন্দোলন সহজ নয়, দীর্ঘ লড়াই করতে হবে। ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। গণজাগরণ সৃষ্টি করে তা ছড়িয়ে দিতে হবে গ্রাম-গঞ্জে। ২০১৮ সাল হবে বিএনপির- এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, এ বছর হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বছর। আর আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে বিএনপি তা প্রমাণ করবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সরকার নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে বিরোধী দল দমনে আরও হিংস্র হয়ে উঠছে। কারণ, তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply